রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ সংলগ্ন লেকটি স্থানীয়দের কাছে ‘গরীবের সুইমিং পুল’ হিসেবে পরিচিত। কাকডাকা ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কাজের ফাঁকে এখান থেকে আনন্দচিত্তে গোসল সেরে নেয়। পানি কম থাকলেও শিশুরা লেকটিকে সুইমিংপুল মনে করে আনন্দ নিয়ে সাঁতার কাটে। এটি নিত্যদিনের দৃশ্য হলেও শনিবার (৮ ডিসেম্বর) এ প্রতিবেদকের চোখে ব্যতিক্রম দৃশ্য চোখে পড়ে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল আটটার ঘরে। লেকের দক্ষিণ পার্শ্বে এক শশ্রুমন্ডিত একবৃদ্ধকে গামছা পরে গোসল করতে দেখা যায়। বৃদ্ধ পানিতে নেমে কাকডুব দিয়ে ওঠে আসতেই এক বৃদ্ধা এগিয়ে যান। ছোট্ট একটি পোটলা থেকে এক টুকরো সাবান বের করে পরম ভালোবাসায় বৃদ্ধের বুক-পিঠসহ সারা শরীর মেজে দেন।
এ সময় বৃদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, ‘এতো বয়স অইছে, তবুও নিজে নিজে সইলের ময়লা পরিষ্কার করতে পার না?’ বৃদ্ধ হেসে জবাব দেয়, ‘এর লাইগ্যাতো তোরে বিয়া করছি।’ বৃদ্ধা চোখেমুখে তখন লজ্জার হাসি।
কাছে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, ময়মনসিংহ সদর থানার আকুয়া গ্রামের বাসিন্দা এ বৃদ্ধের নাম সত্তর মিয়া। বয়স ষাট বছর বললেও দেখতে আরও বৃদ্ধ মনে হয়। স্ত্রী হাজেরা। দু’জনেই থাকনে গুলিস্তান এলাকায়।
কী করেন জানতে চাইলে সত্তর মিয়া বলেন, ‘কোনো কাম করি না, মানুষের কাছে চাইয়া-চিন্তা খাই। আগের স্ত্রী বহু বছর আগে মারা গেছে। হাজেরাকে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করেছি।’
আগের ঘরে সন্তান আছে কি না জিজ্ঞাসা করলে ক্ষোভমিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, ‘নাহ, কোনো পোলাপাইন নাই।’ আপনার বর্তমান স্ত্রী তো এই বয়সেও আপনাকে অনেক ভালোবাসে বললে সত্তর মিয়ার জবাব, ‘ভালোবাসতে বয়স লাগে না। আমরা দুইজন দুইজনরে খুব ভালোবাসি। একজন আরেকজনের ছাড়া অচল।’
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল আটটার ঘরে। লেকের দক্ষিণ পার্শ্বে এক শশ্রুমন্ডিত একবৃদ্ধকে গামছা পরে গোসল করতে দেখা যায়। বৃদ্ধ পানিতে নেমে কাকডুব দিয়ে ওঠে আসতেই এক বৃদ্ধা এগিয়ে যান। ছোট্ট একটি পোটলা থেকে এক টুকরো সাবান বের করে পরম ভালোবাসায় বৃদ্ধের বুক-পিঠসহ সারা শরীর মেজে দেন।
এ সময় বৃদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, ‘এতো বয়স অইছে, তবুও নিজে নিজে সইলের ময়লা পরিষ্কার করতে পার না?’ বৃদ্ধ হেসে জবাব দেয়, ‘এর লাইগ্যাতো তোরে বিয়া করছি।’ বৃদ্ধা চোখেমুখে তখন লজ্জার হাসি।
কাছে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, ময়মনসিংহ সদর থানার আকুয়া গ্রামের বাসিন্দা এ বৃদ্ধের নাম সত্তর মিয়া। বয়স ষাট বছর বললেও দেখতে আরও বৃদ্ধ মনে হয়। স্ত্রী হাজেরা। দু’জনেই থাকনে গুলিস্তান এলাকায়।
কী করেন জানতে চাইলে সত্তর মিয়া বলেন, ‘কোনো কাম করি না, মানুষের কাছে চাইয়া-চিন্তা খাই। আগের স্ত্রী বহু বছর আগে মারা গেছে। হাজেরাকে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করেছি।’
আগের ঘরে সন্তান আছে কি না জিজ্ঞাসা করলে ক্ষোভমিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, ‘নাহ, কোনো পোলাপাইন নাই।’ আপনার বর্তমান স্ত্রী তো এই বয়সেও আপনাকে অনেক ভালোবাসে বললে সত্তর মিয়ার জবাব, ‘ভালোবাসতে বয়স লাগে না। আমরা দুইজন দুইজনরে খুব ভালোবাসি। একজন আরেকজনের ছাড়া অচল।’
Category
🗞
News