• 3 years ago
বর্তমান বিশ্বে কোন কিছুই এখন আর বিজ্ঞানীদের ধরাছোয়ার বাইরে নেই। তবুও কিছু কিছু ঘটনা বা রহস্য এখন আছে যার সঠিক কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিতে পারছে না। এমনই একটি রহস্যময় গ্রাম আর রহস্য হল জাতিঙগা গ্রামে পাখিদের আত্মহত্যা করার রহস্য।

আসামরে দিমা হাসাও জেলাতে জাতিঙ্গি নামে একটি গ্রাম আছ। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার, এই গ্রামটি পাখিদের আত্মহত্যার ঘটনার জন্য সারা বিশ্বে আজ পরিচিত।

অবাক করা কান্ড হলো এই গ্রামে রয়েছে এমনই এক সুইসাউড জোন যেখানে সুইসাইড করার জন্য প্রতি বছর ঝাকে ঝাকে পাখি আসে। পাহাড় বেষ্টিত এই গ্রামে রয়েছে বেশ কয়েকটি বার্ড সুইসাইড জোন।

লোকমুখে কথিত আছে অনেক বছর আগে কোন এক অলৌকিক ঘটনাকে কেন্দ্রকরে এখানে হাজার হাজার পাখি আত্মহত্যা শুরু করে।

তখন আত্কং ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকা বাসীর মধ্যে। গ্রামের মানুষজন তখন রাতের বেলাই বাইরে বের হত না। এ ঘটনাকে তারা দেবতার অভিশাপ বলে মানত।

মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি, আর বিজ্ঞানের সংস্পর্শে এই পাখিদের সসুইসাইড করার রহস্য উদ্ঘাটনের প্রচেষ্টা শুরু হয়।

কিছু বৈজ্ঞানিকরা এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলছেনে, গ্রামরে আলো পাখিদের দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে যার ফলে তারা আত্মহত্যা করে, আবার কিছু মানুষরে কথা অনুযায়ী এখানে জোরে হাওয়া দেয়ার কারণে পাখিরা তাদের ভারসাম্য হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মারা যায়।

পাখিদের এই রহস্যময় আত্মহত্যার ব্যাপারে অনকেইে অনকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কিন্তু এর পছেনে আসল কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা আজও কেউ দিতে পারেনি।

যে পাখির দল এই গ্রামের উপর দিয়ে উড়ে যায় তারা এই গ্রাম অতক্রিম করার আগইে মৃত অবস্থায় রাস্তাতে পরে থাকতে দেখা যায়।

আরও একটি রহস্যময় ব্যাপার হল বেশিরভাগ আত্মহত্যা নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে রাত আটটা থেকে নটার মধ্যে ঘটে।

আত্মহত্যা করতে আসা পাখিদের মধ্যে রয়েছে সাদা সারস, সবুজ পায়রা, সোনা ঘুঘু, কাঠঠোকরা ও মাছরাঙা জাতীয়পাখি।

Category

🗞
News

Recommended