আফগানিস্তান ইতিহাস | Afghanistan Juddho Bangla Itihash | Ki keno kivabe | Onneshon

  • 4 years ago
আফগানিস্থান স্বাধীনতার ১০০ বছর পুরন হয়েছে ২০১৯সালে।
ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনত হলেও অর্থনীতি আর জাতিও এবং আন্তর্জাতিক রাজনিতির বিশাক্ত লড়াইয়ের কারনে কখনই স্বাধীন ভাবে বাচার সাধ নেওয়া হইনি আফগানদের।
সোভিয়েত ইউনিওনের সাথে ১০ বছর যুদ্ধ,
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ১৯ বছর চলমান যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধ, সব মিলিয়ে ৫০বছর যুদ্ধের মধ্যেই আফগানিস্থানের নাগরিকরা। বলা যায় তাদের একটি প্রজন্মই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবন অতিবাহিত করেছে যুদ্ধের মধ্যেই। তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হলেও বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন
ক্ষমতা দখল নিয়ে আবারো গৃহযুদ্ধ বেধেজেতে পারে আফগানিস্থানে। পাহার-পর্বত ঘেরা দেশটির মানুষের কাছে বোমার বিস্ফোরণ এবং গুলি যেন নিত্ত দিনের সঙ্গি।
#Stay_Home_with_Infotainment
#Afganisthan

আফগানিস্তান, যার সরকারি নাম আফগানিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র (পশতু: د افغانستان اسلامي جمهوریت: দে আফ্‌গ়ানিস্তান্‌ ইস্‌লামি জোম্‌হোরিয়াৎ‌; ফার্সি: جمهوری اسلامی افغانستان জোম্‌হুরীয়ে এস্‌লমীয়ে অ্যাফ্‌গ়নেস্তন্‌ আ-ধ্ব-ব: [dʒomhuːɾije eslɒːmije æfɣɒːnestɒːn]) দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এটি ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যস্থলে একটি ভূ-বেষ্টিত মালভূমির উপর অবস্থিত। আফগানিস্তানকে অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়া [৪][৫][৬][৭][৮] এবং মধ্যপ্রাচ্যের [৯][১০][১১] অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের পূর্বে ও দক্ষিণে পাকিস্তান [টীকা ১], পশ্চিমে ইরান, উত্তরে তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান এবং উত্তর-পূর্বে গণচীন। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ "আফগান (তথা পশতুন) জাতির দেশ"। আফগানিস্তান একটি রুক্ষ এলাকা - যার অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমি আবৃত।শুধু পার্বত্য উপত্যকা এবং উত্তরের সমভূমিতে গাছপালা দেখা যায়। এখানকার গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে প্রচণ্ড শীত পড়ে। কাবুল দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু লোক আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছেন এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। দেশটির বর্তমান জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য এই ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। আফগানিস্তানে বসবাসরত সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হল পশতু জাতি। এরা আগে আফগান নামেও পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে আফগান বলতে কেবল পশতু নয়, বরং জাতি নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককেই বোঝায়।

রাগৈতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খনন করে দেখা গেছে উত্তর আফগানিস্তানে প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে মনুষ্যবসতি ছিল। ধারণা করা হয় আফগানিস্তানের কৃষি খামার সম্প্রদায় বিশ্বের প্রাচীনতম খামারগুলোর একটি।[১২][১৩]

আফগানিস্তানে অনেক সাম্রাজ্য ও রাজ্য ক্ষমতায় এসেছিল, যেমন গ্রেকো-বারট্রিয়ান, কুশান, হেফথালিটিস, কাবুল শাহী, সাফারি, সামানি, গজনবী, ঘুরি, খিলজি, কারতি, মুঘল, ও সবশেষে হুতাক ও দুররানি সাম্রাজ্য।[১৪]

"স্ট্যান" অর্থ জমি। আফগানিস্তান মানে আফগানদের দেশ। "স্টান" শব্দটি কুর্দিস্তান এবং উজবেকিস্তানের নামেও ব্যবহৃত হয়।

২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পর মধ্য এশিয়া থেকে এই এলাকায় লোক আসতে শুরু করে। এদের অধিকাংশই ছিল আর্য, যারা ইরান ও ভারতেও বসতি স্থাপন করেছিল। তখন এই এলাকার নাম ছিল আরিয়ানা।[১৫][১৬]

খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে পারস্য সাম্রাজ্য আরিয়ানা দখল করে। ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহামতি আলেকজান্ডার পারস্যের সম্রাটকে পরাজিত করে

Recommended