আমলকির পুষ্টিগুণ, Nutritional value of amalki
আমলকি। ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল।এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, এ ফলের প্রধান অংশ পানি। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৯৫ ভাগ পানি থাকে। শর্করা ও পেকটিন বাদে পাওয়া যায় নানা রকমের খনিজ ও ভিটামিন। আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে ৯ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন। ফলের ক্যারোটিন ভিটামিন এ’র কাজ করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ০.০৩ মি.গ্রা থায়ামিন, ০.০১মি.গ্রা রিবোফ্লেভিন ও ১.২ মি.গ্রা লৌহ পাওয়া যায়।
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৬০০ মি.গ্রা ভিটামিন পাওয়া যায়। যা একটি বড় মাপের কমলার চেয়ে বেশি।
এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৫০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম ও ২০ মি.গ্রা ফসফরাস থাকে।
সুস্থ সবল থাকতে প্রতিদিন মৌসুমি ফল আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দেন ফারাহ মাসুদা। কারণ আমলকীর নানা গুণের মধ্যে আছে-
* আমলকী দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* এই ফল ক্ষুধা মন্দা দূর করে ও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
* নিয়মিত আমলকী খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। নানা রকমের চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
* আমলকী খেলে এবং চুলে ব্যবহার করলে চুল সুস্থ ও সুন্দর থাকে।
* এছাড়াও রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গুণ। নানা রকমের রোগ থেকে মুক্তি পেতে এটি সাহায্য করে।
চলুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে:-
১. আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৩. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।
৫. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকি চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
৯. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
আমলকি। ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল।এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, এ ফলের প্রধান অংশ পানি। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৯৫ ভাগ পানি থাকে। শর্করা ও পেকটিন বাদে পাওয়া যায় নানা রকমের খনিজ ও ভিটামিন। আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে ৯ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন। ফলের ক্যারোটিন ভিটামিন এ’র কাজ করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ০.০৩ মি.গ্রা থায়ামিন, ০.০১মি.গ্রা রিবোফ্লেভিন ও ১.২ মি.গ্রা লৌহ পাওয়া যায়।
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৬০০ মি.গ্রা ভিটামিন পাওয়া যায়। যা একটি বড় মাপের কমলার চেয়ে বেশি।
এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৫০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম ও ২০ মি.গ্রা ফসফরাস থাকে।
সুস্থ সবল থাকতে প্রতিদিন মৌসুমি ফল আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দেন ফারাহ মাসুদা। কারণ আমলকীর নানা গুণের মধ্যে আছে-
* আমলকী দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* এই ফল ক্ষুধা মন্দা দূর করে ও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
* নিয়মিত আমলকী খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। নানা রকমের চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
* আমলকী খেলে এবং চুলে ব্যবহার করলে চুল সুস্থ ও সুন্দর থাকে।
* এছাড়াও রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গুণ। নানা রকমের রোগ থেকে মুক্তি পেতে এটি সাহায্য করে।
চলুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে:-
১. আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৩. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।
৫. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকি চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
৯. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
Category
🛠️
Lifestyle