সনাতন জ্ঞান ভান্ডার ‍Sanatangeanbandar

@sanatangeanbandar
ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়
#হরে #কৃষ্ণ #জয় #শ্রীকৃষ্ণ #জয় #সনাতন
সকলকে জানাই.
কৃষ্ণ প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
সবাইকে সনাতন জ্ঞান ভান্ডারে সু-স্বাগতম
বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন সবকিছু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে।মানুষের জীবন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ বিলুপ্ত হয়ে মানুষ যন্ত্র মানবে পরিণত হচ্ছে। মানুষ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে ঠিকই যা শুধুমাত্র অন্ন-বস্ত্র-বংশবৃদ্ধির চাহিদা পূরণ করে জীবিকা নির্বাহ করতে শিখায় যা অশিক্ষিত পশুরাও করে। একটা প্রবাদ আছে জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান। এখানে কোন জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে? আধ্যাত্মিক জ্ঞান/ধর্মীয় জ্ঞান ‍যা মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত করে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন -জ্ঞান দুই প্রকার-১.পরাবিদ্যা ২. অপরাবিদ্যা অর্থ্যাৎ জাগতিক জ্ঞান যার মাধ্যমে আমরা এই জড় জগতে জীবিকা নির্বাহ করে জীবন ধারণ করি এবং পারমার্থিক জ্ঞান যার মাধ্যমে আমরা নিজেকে জগৎকে সময়কে সর্বোপরি ভগবানকে জেনে সুখময় শান্তিময় আনন্দময় জীবন লাভ করতে পারি।

আগেকার যুগে পাঁচ বছর হলেই সন্তানকে গুরুকুলে পাঠানো হত। সেখানে গুরুদেব জাগতিক ও পারমার্থিক/আধ্যাত্মিক/ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শ মানুষে পরিণত করত যার ফলে তখন মানব সমাজ ছিল সুশৃঙ্খল সুখময় শান্তিময় আনন্দময়। কিন্তু বর্তমান কলিযুগে সন্তানকে পাঠানো হয় গুরুকুলের বদলে স্কুলে যেখানে তারা পারমার্থিক শিক্ষা থেকে সম্পর্ণরূপে বাদ পড়ে যাচ্ছে যার প্রভাব আমরা সমাজে দেশে রাষ্ট্রে দেখতে পাচ্ছি। তাই বর্তমানে টাকা-পয়সা-গাড়ি-বাড়ী-নারী-সরকারি চাকরি থাকা সত্ত্বেও মানুষের দেহে সুখ নেই, দেহে সুখ থাকলেও মনে শান্তি নেই, মনে শান্তি থাকলে আত্মায় আনন্দ নেই। এমতাবস্থায় মানব সমাজে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। প্রযুক্তিনির্ভর যুগে আমরা প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে চলতে পারবো না। প্রযুক্তির ভালো-খারাপ উভয় দিকই রয়েছে যা নির্ভর করে ব্যবহারকারির উপর।

তারই ধারাবাহিকতায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অশেষ করুণায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে সনাতন জ্ঞান ভান্ডারের জ্ঞান সনাতনীদের মাঝে পৌঁছে দিতে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।