বানারীপাড়া উপজেলার লবনসাড়া গ্রামে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে অমীমাংসিত জমি সংক্রান্ত বিরোধ অবসান ঘটল।

  • 3 years ago
এসপিএন বাংলা টিভি সংবাদঃ অবশেষে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে অমীমাংসিত জমি সংক্রান্ত বিরোধ অবসান ঘটল। বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার লবনসাড়া গ্রামের লবনসাড়া জে এল ১৫ নং মৌজার এস এ খতিয়ান ্এ ৪৫৩, ৫৫২, ৮০, দাগ নং-৮০১, ৮০২, ৮০৩, ৮০৪, ৮০৫ জমি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় লড়াই চলছিল দীর্ঘদিন যাবত। মামলা মোকদ্দমার অবসানের পথে প্রথম পক্ষের ছালাম গংদের ডাকা সালিশী, ৮নং উদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাহাদ আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে সালিশী বৈঠক চলতে থাকে। উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সার্ভেয়ার দ্বারা ভূমি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্বান্ত হয়। উক্ত সালিশিতে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ জাকির হোসেন, ৮নং ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির, ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল হাং, হারেচ হাং, মো. হারুন অর রশিদ, মো. মাহফুজুর রহমান মিরাজ। সালিশদের সিদ্ধান্ত অনুযায় যার যার দখল, কাগজপত্র ও দ্বিতীয় পক্ষের ৪২ নং দেওয়ানী মামলার চুরান্ত ডিক্রী অনুযায় ভূমি পরিমাপ করে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২৪-৪-২০২১ ও ২৫-৪-২০২১ সার্ভেয়ার বিজয় মহুরী দ্বারা জমি পরিমাপ করা হইতেছে। দ্বিতীয় পক্ষের আ: হাকিম, ফজলুল হক, আজিজুল হক মিন্টু। প্রথম পক্ষের মুন্সি রাশেদুল হাসান, মুন্সি রাশেদুজ্জামান, মোস্তফা এবং আ: ছালাম টুকু, নাজমুল ইসলাম, আ: রশিদ, আ: বারেক, আলমগীর, দেলোয়ার, ইসমাইল সরদার, ইদ্রিস প্রমুখ, এদের উপস্থিতে প্রথম পক্ষের মুন্সি রাশেদুল হাসান, মোস্তফা গংদের ৩ একর ৮ শতাংশ, আ: ছালাম, বারেক নাজমুল ইসলাম ১একর ১৭ শতাংশ, দ্বিতীয় পক্ষ আ: হাকিম, মাওলাদ হোসেন সানা, ফজলুল হক ও হিরু গংদের দখল অনুযায় ৮০৫ দাগে ১একর ১৪ শতাংশ, ৮০৩ দাগে ৩৮ শতাংশ মোট ১একর ৫২ শতাংশ ও ১ একর ১০ শতাংশ ভূমি মরহুম হাজেরা খাতুনের সত্য হিসেবে দেলোয়ারের জন্য এজমালি রাখা হয়, এই মিমাংশা চিটা নকশা করে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে দেন সালিশরা। মুন্সী রাশেদুল হাসান এসপিএন বাংলা টিভিকে জানান তার দাদা,বাবা ও চাচা, ও তার নিকট আত্মীয় মরহুম আব্দুর রউফ মোঙ্গল সরদারের ভূমি দুটি নিলামে আদালতের মাধ্যমে ক্রয় করেন ১৯৩৭ ও ১৯৫৬ সালে ৪ একর ২৫ শতাংশ ভূমি। তিনি আরো বলেন আমাদের নামে আফের সরদারের সম্পত্তি থেকে মোট ১একর ৩৭ শতাংশ ভূমি বেশি রেকর্ড হয়েছে। এই নিয়ে মামলা মোকদ্দমা যতই করি বেশি রেকর্ডের জমি কখনো রাখতে পারবো না। তাই আমাদের ৪ একর ২৫ শতাংশ বেশি জমি আমাদের প্রয়োজন নেই এমনকি বেশি আমি কখনো ভোগ দখল করি নাই এবং ভবিষত্যে কখনো করবো না। ছালাম এসপিএন বাংলা টিভিকে জানান,আমরা মুন্সী রাশেদুল হাসানের চাচা ও দাদীর অংশ ক্রয় করি কিন্তু কাগজ পত্রে পেলাম আমি, আমার ছেলে ও আমার ভাই ১ একর ১৭ শতাংশ। এই ভূমি নিয়ে আমি এখন থেকে আর কোন মামলা করব না, ও ছেলেদের বলছি মামলা মোকদ্দমা না করতে। আ: হাকিম হাওলাদার, ফজলুল হক হাওলাদার ও আজিজুল হক মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা ৫ শরিক মিলে ১দলিলে ১একর ৫৩ শতাংশ জমি ক্রয় করি। আমাদের সম্পত্তি রেকর্ড কম থাকায় রেকর্ড সংশোধনের জন্য মোকাম বরিশাল সহকরী জজ আদালত বানারীপাড়া দেওয়ানী মামলা করি ২০০৭ সালে। বিজ্ঞ আদালত ৩টি চুরান্ত ডিক্রীর মাধ্যমে ১ একর ৫২ শতাংশ জমির ডিক্রী হয়। আদালত কর্তৃক কমিশন দ্বারা ভূমি বন্টন ও পরিমাপ করে দখল বুজিয়ে দেয় ২০১৪ সালে। আমরা সম্পত্তি ক্রয় করার পর থেকেই দখলে আছি। ৮০৫ দাগে ১ একর ১৪ শতাংশ ও ৮০৩ দাগে ৩৮ শতাংশ জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমানে শালিশ গংরা সার্ভেয়ার দ্বারা যেভাবে জমি পরিমাপ করে চিটা নকশা করে দিয়েছেন। আমাদের দখল ও আদালতের রায় অনুসারে আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন এই জন্য শালিশ গংদের ও মুন্সি রাশেদুল হাসানকে ধন্যব