সমীরণের মন বাগান | jagonews24.com

  • 3 years ago
যান্ত্রিক শহর ছেড়ে গ্রামের পথে আমরা। গন্তব্য তখন শাহরাস্তি উপজেলায়। হঠাৎই চোখে ভেসে উঠলো একটি সাইনবোর্ড। যেখানে লেখা আছে মন বাগান। চারিদিকে পাখির কিচিরমিচিরের শব্দ। প্রবেশ পথ ধরে এগুতেই দেখা মিললো একজন কাঠ মিস্ত্রীর। দেখে মনে হলো তারা বোধয় এখানে কাঠের কাজ করে। কিন্তু দৃশ্যপঠ যেন মুহুর্তেই বদলে গেলো। আশে-পাশে তাকাতেই চোখে পড়লো দৃষ্টিনন্দন কারুশিল্পের। তবে এসব শিল্পকর্ম ফেলে দেওয়া বস্তু থেকে তৈরি।বিভিন্ন গাছের গুড়ি, শেখড় দিয়ে তৈরি এসব দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম যে কারো চোখ আকড়ে ধরবে। শিল্পী সমিরণ দত্ত নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন মন বাগান। যেখানে ফেলনা জিনিস দিয়ে তৈরি হয় নানা রকম শিল্প সামগ্রী।

১৯৯৯ সাল থেকে এ শিল্পের সাথে পথ চলা সমীরণের। দেড় যুগের ও বেশী সময়ে তিনি তৈরি করেছেন ৫০০০ এর উপরে শিল্পকর্ম। মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য সহ, পাখি,মাছ,জীব যন্তু সবই যেন সুনিপুণ ভাবে তৈরি করছেন তিনি।

সমীরণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিং এ অনার্স মাস্টার্স। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চান না বলে সব সময় মনে মনে ভাবতেন নিজে কিছু একটা করার। হঠাৎ করেই তার কারু শিল্পের প্রতি ঝোঁক পেয়ে বসেছিলো। আর তাতেই যেন শিল্পের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন সমীরণ।

৪৭ শতাংস জায়গা ভাড়া নিয়ে শিল্পকর্মের বাগান তৈরি করেন সমীরণ। যার নাম দেন মন বাগান হিসাবে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ টি প্রদর্শনী হয় তার এই গাছের শেখড়ের তৈরি জিনিসপত্রের।

সংসার জীবনে সমীরণের দুই ছেলে দুই মেয়।
পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাঁর এই কর্মযজ্ঞ সামনের দিকে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে।

সুনিপূণ হাতে তৈরি এসব দৃষ্টিনন্দন শিল্প দেখতে প্রতিদিনই মন বাগানে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।

সমীরণ তার মন বাগানে ডিসপ্লে করে রেখেছেন হাজার খানেক কারুশিল্পের নিদর্শন।

নিজের কাজের ব্যাপারে খুব একটা হতাশ নন তিনি। হতাশ তাঁদের নিয়ে যারা তাকে আশা যোগানোর নাটক করে। তার বন্ধুরা তাকে হতাশার রাজ্যে প্রবেশই করতে দেন না।

Recommended