জোবায়দা রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো যে ৩ নেতার

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের তিনজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিলো বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। তারেকের বন্ধু মামুন, মাহী বি. চৌধুরী ও এম এ মালেক এর সাথে জোবায়দা রহমানের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, জোবায়দা রহমানের সঙ্গে তারেক রহমানের বিয়ের পর সর্বপ্রথম যে পুরুষের সঙ্গে জোবায়দার সম্পর্কে জড়ান তিনি হচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। মামুন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারেকের ঘনিষ্ঠ হবার কারণে প্রায়শই তারেকের বাসায় যাওয়া-আসা করতেন গিয়াস উদ্দিন মামুন। নিয়মিত যাওয়া-আসার কারণে জোবায়দা রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে মামুনের। জোবায়দাও ধীরে ধীরে মামুনের প্রতি দুর্বল হয়ে যেতে থাকেন। তারেক রহমানের শারীরিক অক্ষমতার কারণেই মূলত মামুনের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বাড়তে থাকে জোবায়দার। তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে জোবায়দা রহমানের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলেন মামুন। শুরু হয় মামুন-জোবায়দার মধুমিলন।

এর পর তারেক-জোবায়দা দম্পতির মাথায় চিন্তা আসে পুত্র সন্তানের বিষয়টি। কিন্তু কোকো ও তারেকের কোনো ছেলে সন্তান নেই। তারেক রহমানের পর বিএনপির হাল ধরতে পুরুষ নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই পুত্র সন্তানের আশায় তারেক রহমানের পুরনো বন্ধু ও বিকল্প ধারার নেতা মাহী বি. চৌধুরীর কাছে গোপনে পুত্র সন্তান চেয়েছিলেন জোবায়দা রহমান। যা বিএনপির একটি ঘনিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছিল। মাহী ও জোবায়দা রহমানের অন্তরঙ্গতা নিয়ে বিএনপিতে গুঞ্জনও শুরু হয়। অনেকেই বিষয়টি গুজব ভাবে। তবে মাহী বি চৌধুরীর সঙ্গে জোবায়দা রহমানের একাধিক ওয়াটস আপ কল এবং ঢাকায় আসলেই জোবায়দার সঙ্গে গুলশানের হোটেলে মাহীর কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবার পর, মাহী ও জোবায়দার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে সবাই নিশ্চিত হয়।

মামুন ও মাহী বি. চৌধুরীর পর জোবায়দার তৃতীয় সম্পর্ক তৈরি লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এর সঙ্গে। রাজনৈতিক কারণে বিগত ৭ বছর যাবৎ তারেক রহমানের বাসায় সর্বদা যাতায়াত করতেন এম এ মালেক। ধীরে ধীরে জোবায়দা ও মালেকের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এ বিষয় নিয়েও এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে বিশ্বাস করতে না চাইলেও, লন্ডনের একাধিক হোটেল থেকে জোবায়দা ও মালেককে একসঙ্গে বের হতে দেখে বিষয়টির পুরোপুরি নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।

বর্তমানে তারেকের সঙ্গে জোবায়দা রহমান সুখের সংসার অতিবাহিত করছেন। ফলে পুরোনো বিষয় সামনে এনে তারেক-জোবায়দার সম্পর্ক নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না বলে মনে করেছেন বিএনপির একাধিক নেত্রীবৃন্দ।